ব্যাঘ্র হরণ

বাংলা ক্রিকেট ওয়াশ
একদা একজন মহাবোদ্ধা বলিলেন, আমরা এতই শক্তিশালী হইয়া উঠিয়াছি যে, আমাদের পাইপ লাইনে এত্ত এত্ত শক্তিশালী খেলোয়াড় পড়িয়া রহিছে যে আমরা তাহদের কাজে লাগাইতে পারিতেছি না তাই আমাদের অতি দ্রুত দুইটা জাতীয় দল করা সময়ের প্রয়োজন। কেন? তাহা না হইলে প্রতিভা নষ্ঠ হইয়া যাইতে পারে। ওহ! ইহা তো সঠিক, আমরা কেন আমাদের প্রতিভা নষ্ঠ হইতে দিব, আমাদের তো অনেক ডিপোজিট হইইয়া গেছে। ব্যাঘ্ররা বসিয়া থাকিতে পারে না, তারা হুঙ্কার দিতে চায়। প্রতিযোগিতা সামনে রাখিয়া আমাদের মনোবল বাড়াইয়া নিতে হইবেই, তাই কাহারো সাথে জিতিয়া প্রমান করিতে হইবে যে আমরা সঠিক কাজ করিতেছি। কেহ কোন কথা বলিবা না, শুধুই আমি বলিব আর আমার কথা শুনিবা এবং আমিই বার বার আসিব। তাইতো নিজেদের মত মাঠ বানাইয়া সবাইরে অপদস্ত করিয়া আমাদের ব্যাঘ্ররা জিতিয়া লাফাইলো কিন্তু হাফাইলো না।
ব্যাঘ্ররা তো জিতিয়া মনোবল চাঙ্গা করিয়া হুঙ্কার দিয়া বেরিয়ে পড়িল আমরাই ফেবারিট কিন্তু বিধি বাম! আয়নায় তো চেহারা দেখা হয় নাই! কিন্তু গিয়া যখন চেহারা দেখিল তখন হতাশ হইয়া হুঙ্কার আর আসিল না, মিউ হইয়া গেল। তাইতো ব্যাট আর চলিল না, কাটার আর কাটিল না, ক্যাচও হাতে বসিল না। যাহারা হুঙ্কার শিখাইলো তাহারা তো অন্যদের থেকে বিতাড়িত, আসিল যুবদের তদারকির মানসে আমাদের বোদ্ধা বাধিয়া দিলেন বুড়াদের শাসিতে, উনি হাসিলেন এখনো হাসিতেছেন আর আমাদের সিনিয়রেরা ভুগিতেছেন। এখন তাহারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এখন আর ভুগিবেন না, হুঙ্কার দিবেন এবং দিতেছেন। কাহাদের? যাহারা অনাহুত ও দখলদার।
এখন আমদেরও আয়নায় চেহারা দেখিতে হইবে যেভাবে দেখলে আমাদের চেহারা আমদের মতই থাকিবে, নতুন করে ধামে ফিরিয়া আসিয়া পাপুয়া নিউগিনির সাথে টেনশনে থাকিতে হবে না, চেহারায় দেখিতে হইবে নমিবিয়ার কাছে আমরা হারিয়াও যাইতে পারি যেন আমারা আগেই তুলার ব্যাঘ্র হইয়ে না পড়িয়া যাই যাহাতে আমাদের ক্রিকেট বাচিয়া যায়। আর যেন আমরা আমদের আপ্তবাক্যে ভরসা রাখি– এটাই ক্রিকেট, এখানে এমন হতেই পারে। শুধু আমাদেরই! দর্শক ও সমর্থকেরাই আসলে হলো সমস্যা, তাহারা সবই বুঝিয়া যাইতেছে…
অনাহুতদের পরিত্যাগ করে ক্রিকেট কে রক্ষা করুন।